স্পোর্টস ডেস্ক:
বিতর্ক দিয়ে শুরু হলো ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দ্বৈরথ— অ্যাশেজ। প্রথমে করমর্দন অনুষ্ঠান বাতিল। তার পরে ডেভিড ওয়ার্নারের উদ্দেশে সিরিশ-কার্ড দেখানো। যা নিয়ে মাঠের ভিতরের মতো মাঠের বাইরেও জমে উঠেছে লড়াই।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে বল বিকৃতি ঘটনার জের ধরে এক বছর নির্বাসনে থাকার পর অ্যাশেজ দিয়েই টেস্টে প্রত্যাবর্তন ঘটছে অস্ট্রেলিয়ার তিনি ক্রিকেটারের। স্টিভ স্মিথ, ডেভিড ওয়ার্নার ও ক্যামেরন ব্যানক্রফ্টের। এই ক্রিকেটারদের যে দর্শক বিদ্রুপের মুখে পড়তে হবে, এই আশঙ্কাটা প্রথম থেকেই ছিল। বৃহস্পতিবার যখন অস্ট্রেলিয়ার প্রথম এগারোর তালিকা পড়ে শোনানো হচ্ছে, স্মিথের নাম শোনা মাত্রই বিদ্রুপ করতে থাকেন এজবাস্টনের দর্শকরা।
ব্যাপারটা অন্য মাত্রা পেয়ে যায় ওয়ার্নার আউট হওয়ার সময়। বাঁ-হাতি ওপেনার যখন স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন, গ্যালারির একটা অংশের দর্শক উঠে দাঁড়িয়ে ‘হলুদ কার্ড’-এর আকারে কেটে আনা সিরিশ কাগজ দেখাতে থাকেন তার উদ্দেশে। যে ভিডিয়ো আবার টুইট করেছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট।
এ তো গেল দর্শকদের প্রতিক্রিয়া। অ্যাশেজের প্রথম বল পড়ার আগেই দু’দলের অন্য এক ‘ম্যাচ’ হয়ে গেছে। যে ম্যাচের কেন্দ্রে ছিল ‘করমর্দন অনুষ্ঠান।’
ব্রিটিশ প্রচারমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক টিম পেন চেয়েছিলেন ম্যাচের আগে দু’দলের ক্রিকেটারেরা যেন করমর্দন করেন। এর আগে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার ওয়ান ডে সিরিজে ম্যাচের আগে করমর্দন করেছিলেন দু’দলের ক্রিকেটারেরা। অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারদের ভাবমূর্তি বদল করতে এই পদক্ষেপ করেছেন পেন। কিন্তু জানা যাচ্ছে, গত কাল ম্যাচ রেফারি রঞ্জন মদুগলের সঙ্গে বৈঠকের সময় ব্যাপারটা প্রথম জানতে পারেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক জো রুট এবং কোচ ট্রেভর বেলিস। ইংল্যান্ড অধিনায়ক ও কোচের থেকে সরকারিভাবে কোনো অনুমোদন না নিয়েই ‘করমর্দন সূচি’ রাখা হয়েছিল। যা দেখে একেবারেই খুশি হননি রুটরা।
বল বিকৃতি কেলেঙ্কারির পরে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক পেন চেয়েছিলেন, দলের ক্রিকেটারদের ভাবমূর্তি বদলে ফেলতে। যে কারণে প্রতিটা টেস্ট সিরিজের আগে এই করমর্দন প্রথা চালু করতে চেয়েছেন তিনি। ইংল্যান্ডের সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী, রুট নাকি এ ব্যাপারে মোটেও আগ্রহ দেখাননি। ইংল্যান্ড অধিনায়ক মনে করেন, এটা স্রেফ একটা জনসংযোগের চেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়।